ক্রীড়া ডেস্ক :
বিশ্ব যখন করোনা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নাকাল তখন বিশ্বের বহু দেশের অবস্থা শব্দ দিয়ে বোঝানোর মতো না। তেমনি পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কানদের, নিজেদের দেওলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয় দেশটির সরকার। এরপর বহু ঘটনাই ঘটেছে।
এরই মধ্যে লঙ্কান ক্রিকেটের মহা তারকাদের তারকা বলে খ্যাত সাবেক অধিনায়ক রানাতুঙ্গা লঙ্কান ক্রিকেট নিয়ে বোমা ফাঁটালেন। দুর্নীতির কারণে দেউলিয়ার শ্রীলংকান সরকারের চেয়েও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড। এমনটাই বলেছেণন শ্রীলংকান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
১৯৯৬ সালে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল সীমিত ওভারের সংস্করণে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ছিল শ্রীলংকা। টানা দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দলটি টি-২০ বিশ্বকাপও জিতেছে। শ্রীলংকার সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। এ মুহূর্তে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলংকা। একই সঙ্গে চলছে খাদ্য সংকট। ঋণ শোধ করতে না পারায় অনেক বড় স্থাপনা চলে গেছে বিদেশিদের দখলে। দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভও চলছে আর্থিক অব্যবস্থাপনার জন্য।
তবে রানাতুঙ্গা মনে করেন সরকারের চেয়েও দুর্নীতিপরায়ণ হচ্ছে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড।  তার মতে, ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিটি পদে বসে আছেন যারা, তারা সবাই ‘চোর’, তিনি বলেন, দেশের ক্রিকেট চলছে অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। চরম অপেশাদারিভাবে। সে কারণেই দেশের ক্রিকেটে এত সংকট। ক্রিকেটের অবস্থা এত খারাপ। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ সংস্থা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড।
এ মুহূর্তে ভারত সফরে আছেন রানাতুঙ্গা। সেখানে বোর্ড লংকান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা বলেন, তারা সবকিছু গুবলেট করে ফেলেছে। বোর্ডে ক্রিকেট চালানোর জন্য কোনো পেশাদার ব্যক্তি নেই। শ্রীলংকা যথেষ্ট ক্রিকেটারই তৈরি করে। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিভা আমরা ধরে রাখতে পারছি না। এটা একটা বড় সমস্যা।
শ্রীলংকা বোর্ডের সমস্যার কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রানাতুঙ্গা যা বলেছেন, সেটা হয়তো অন্য কিছু ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষেত্রেও খাটে, ‘নির্বাচনের সময় এলে দেখবেন ১৪৩-১৪৪জন ভোটার। পুরো ব্যাপারটাই অর্থের লেনদেনের ওপর চলে। ২০১৫ সালের পর যারা ক্রিকেট চালাচ্ছে, তারা সব এলোমেলো করে ফেলেছে। মুশকিল হচ্ছে শ্রীলংকায় সব চোররা ক্রিকেট বোর্ডের পদগুলো দখল করে নিচ্ছে।