আবহাওয়া প্রতিবেদক :

বঙ্গপোসাগরে লঘুচাপ সুস্পষ্ট ভাবেই বহাল হয়েছে। এই নিম্নচাপটি খুব দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চলেছে। এ অবস্থায় উপকূলে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এমনটা পূর্বাভাস দিয়েছে।

অধিদপ্তরের পক্ষথেকে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সরকার। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক ও ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, রোববার (৮ মে) পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি. মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০-৪০ কি. মি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। সোমবার (৯ মে) নাগাদ উপকূল এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ (৭ মে) সকাল ৬টায় দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে পরবর্তী নিদের্শনা অনুসরণ অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে।

তবে নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।