গাজীপুরে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেলের দু’টি গুদামের সন্ধান পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই গুদামে অভিযান চালিয়ে সাত হাজারের বেশি লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোলা বাজারে বিক্রি করা হয়। এসময় ওই দুই গুদামের মালিককে তিন লাখ অর্থদন্ড করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, অধিক মুনাফার জন্য বাজারে বেশি মূল্যে বিক্রির জন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সয়াবিন তেল গুদাম জাত করে আসছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকার মান্নান টাওয়ারস্থিত মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের যৌথ টিম। গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এসময় ওই গুদামে অবৈধভাবে গুদামজাত করে রাখা বসুন্ধরা ও সান কোম্পানির প্রায় দুই হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার পরিমাণের বোতলজাত মজুত করে রাখা ছিল। অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে এসব তেল ঈদের আগে কম দামে ক্রয় করে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাজারে সংকট তৈরি করে দোকান মালিক বর্তমান বেশি মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ কারণে দোকান মালিক মনির হোসেনকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। অভিযানকারীরা প্রায় একই সময় পার্শ্ববর্তী মেসার্স আরপি ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো জানান, মেসার্স মনির জেনারেল স্টোর থেকে জব্দকৃত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা দওে এক লিটার, ৩১৮টাকা দরে দুই লিটার ও ৭৬০ টাকা দরে ৫লিটার বোতলজাত তেল খোলাবাজারে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়। অপরদিকে মেসার্স আরপি ট্রেডার্সের খোলা সয়াবিন তেল (ব্যারেলের অর্থাৎ বোতলজাতছাড়া) পূর্বে কেনা মূল্যে অর্থাৎ ১৪৩ টাকা দরে প্রতি লিটার বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে তেল কিনতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান জানান, অভিযানকালে সকল ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও তালিকা হালনাগাদ করা, ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।