লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়ে একটি ভুট্টাক্ষেতে মৃত্যু হয়েছে ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর। ঐ শিক্ষার্থীর মৃগী রোগ থাকায় ভুট্টাক্ষেতের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার সকালে ঐ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ককোয়াবাড়ি গ্রামে একটি ভুট্টাক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। মৃত্যু মেয়েটির নাম ফারজিনা আক্তার। সে ওই এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।

মৃত মেয়েটির বাবা আব্দুর রহমান জানান, মেয়টির মৃগী রোগ ছিলো। তার মেয়ে গরুকে ঘাস খওয়ানোর জন্য গতকাল বিকালে রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে ভুট্টাক্ষেতের দিকে গরু নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েটি আর বাসায় ফিরেনি। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটির মরদেহ ভুট্টাক্ষেতে পাওয়া গেলো।

পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজিবর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। আমাদের সাথে থানার পুলিশও আছেন। মৃগী রোগের কারণে ভুট্টাক্ষেতের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করার জন্য আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের পর প্রাথমিক ধারনা করা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মরদেহে কোন ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান ঐ ওসি।