প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, উপজেলা, জেলার শিল্পকলার সংগঠনের ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়,যানবাহনের ভাড়া খাওয়া,থাকা,নিয়েও কষ্ট করতে হয়। যদিও স্কুল থেকে সামান্য বাজেট দেয় তাতে একটা অটো সি এন জিতে শিক্ষক শিক্ষিকা সহ আট দশ জন এক অটোতে বসে।তাতে ওদের সাজ সজ্জা নষ্ট হয়,নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। যাদের অভিভবাক সাথে যায় সবাই সামর্থ্য রাখেনা ভাড়া বা খরচ দেয়ার। অভিভাবকের হয়রানি হয়।কোন কোন শিল্প কলায় কিছু বাজেট দেয়া হলে তা পুরি,সিঙ্গারা লালা চায়ে শেষ।অধিকার্তাদের সুখটানে খতম।

যা আমার ছোট বেলায় ও ছিল। পুরুষ ছেলে, কালীগঞ্জ থেকে আবু,শিপু,আমি ট্রেনের ইঞ্জিনে বাসে করে চলে যেতাম গাজীপুর, ঢাকায়, তখন মেয়েরা যাদেরর বাবা মা এর অর্থ ছিলো তারা বাসে ট্রেনে গেলে গেলেও সংখ্যায় ছিলো কম।

আমার নিজের ও উপজেলার সার্টিফিকেট বেশি।জেলার কম।তখন যেমন প্রতিভা গুলো ছিলো অভিভাবকের নিজস্ব অর্থায়নের, এখনো তাই।

প্রতিষ্ঠানের বাজেটের অভাবে ঝরে পড়ে প্রতিভা,কষ্ট পায় অভিভাবক,শিক্ষক,সংগঠক। বিজয়ী হলে অর্জন করলে আজকাল ফেসবুকে পোষ্ট,শেয়ার আর আমার,আমাদের দাঁত কেলানো হাসি।

কেউ দেখেনা একটা স্কুল থেকে কিভাবে বিভাগ পর্যন্ত পৌছায় এক একটা প্রতিভা,কেউ দেখেনা সেই প্রতিভার পেছনে শ্রম ঘাম দেয়া প্রতি জন শিক্ষক অভিভাক প্রার্থীর বুকের রক্ত ক্ষরণ।ধর্ম আর সমাজের কত প্রতিকুলতা পেরিয়ে আসে এক একটা ছোট থেকে বড় অর্জন।

অভিভাবক গন কত শিক্ষক কিংবা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক লাঞ্চিত হন,কত শিক্ষক লাঞ্চিত হন।মেয়ে, ছেলে শিশু,কিশোর,কিশোরীরা কতটা অনিরাপদ পথে ঘাটে সর্বত্রই।

প্রতিটা মেধা,প্রতিভা আল্লাহর দান,তা বিকাশে কাজ করে অনেক উপাদান, তবে এতে পার হতে হয় বন্দুর পথ। এর মাঝে যাতায়াত খাওয়া খরচের অর্থ কষ্টটাই মারাত্মক। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে।
একবার বিল্ডিং খুঁজে পেতে এক পিতার অনেক হয়রানি হতে হয়েছে।মেয়েদের মায়েদের আরেক যন্ত্রণা কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলেই পরামর্শ দাতা বন্ধু হতে চায়,হয়ে যায়,এ নিয়ে আবার শুরু হয় সংসারের জটিলতা।

আমার এই লেখা কারো উপকারে আসবেনা, কোন ইউ এন ও, ডি সি সাহেব,শিক্ষা মন্ত্রালয়,সমাজ সেবা মন্ত্রনালয়ের কারো নজরে আসবেনা উপকারী কোন পদক্ষেপ নিতে।কারণ আছে আমলা তান্ত্রিক জটিলতা যার নাম। তবু ফেসবুক,অনলাইন পত্রিকায় লিখে নিজের প্রতিবাদ,প্রত্যাশা জানান দেই।যদি কারো সুনজরে আশে তাহলেতো আমাদের আগামী প্রজন্মের উপকার হবে। পত্রিকা আমাদের দায়মুক্তি তখনি।

তাদের সন্তানেরা মাথা ঠান্ডা রেখেই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয় অতি আদরে।আমাদের সন্তান যখন স্টেজে দাঁড়ায় তখন ঘাম ঝরে জার্নি আর দৌড়াদৌড়ির, বুক কাঁপে,নিঃ শ্বাসের গতি থাকে তীব্র। আমাদের অভিভাবককে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয় অনুষ্টান কক্ষ থেকে। বিচারকের আসনে থাকেন যিনি যে বিষয়ে পারদর্শী নয় তেমন কেউ! যারা জীবনে অংশ নেন নি,বিজয় অর্জন করেননি ওই বিষয়ে।তার ফাঁক ফোকর দিয়ে উঠে আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এক একটি প্রতিভা। বিভাগ পেরেয়ি দেশ সেরা হয় কেউ।তারপর ওই সার্টিফিকেট হয় ফাইল বন্দী।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেখানোর জন্য। ব্যাস।এতেটুকুই।ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নাতি নাতনিদের দেখানোর সময় চোখে ভাসে ফ্ল্যাস ব্যাকে, এক সি এন জিতে আট দশ জন,অনুষ্টান শেষে অভুক্ত, কোন যানবাহন না পেয়ে অন্ধকার রাতে মা মেয়েদের কষ্ট, কোন এক সরকারী কর্মচারী প্রতিযোগির মা বাবাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে, বাচ্চাটা কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চে প্রবেশ করছে, কেউ সুযোগ বুঝে শরীর স্পর্শ কাতর অংশে হাত দিয়ে চাপ দিচ্ছে, মায়ের নয়তো মেয়ের। স্কুল শিক্ষিকা ও চোখ মুছছেন কোন চাপা কষ্ট লুকাতে। স্কুলের শিক্ষক, কিংবা বিচারক করেছেন পার্সিয়ালিটি।

সার্টিফিকেট দেখাতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া দাদু, সম্বিত ফিরে পান নাতিনীর ডাকে। আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা নির্বাচন, মহোদয়দের পাঁচশ হাজার টাকার তারিফ, সরকারি কর্মকর্তার মাল্যদান,রেস্তরার সেল্ফি ভিডিওতে ব্যাস্ত থাক, কোমলমতি শিশুদের জন্য,কিশোরদের সুপথে রাখার জন্য না লিখুক,আমি সারা জীবন সময় পেলেই কিছু না কিছু লিখি বিবেকের দায়বদ্ধতায়। আর ফেসবুকে পোষ্ট দিলেই কিছু না বূঝে, মুল বিষয় বস্তু অনুধাবন না করেই কমেন্টস করুক আমাকে।সেই কমেন্টস ই আমার প্রেরণা হয়ে থাক,।

জাহাঙ্গীর বাবু