যে কোন ভূমি অফিস ছিল সেবাপ্রার্থীদের কাছে আতঙ্কের। হয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ ছিল বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে সেখানে ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে সেবা পাচ্ছে ভূমি মালিকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ভালো আচরণও। আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিস শতভাগ ডিজিটাল ভূমি সেবায় এখন সর্ব সাধারণের কাছে জনবান্ধব।

‘ভূমি সেবা হচ্ছে ডিজিটাল, বদলে গেছে দিনকাল’ এ স্লোগান কে সামনে রেখে আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আল আমিন সরকারের দক্ষ নেতৃত্বে আগ্রাবাদবাসীকে পূর্নাঙ্গ ভূমি সেবা প্রদানসহ অফিস পরিচালনায় ঈর্ষনীয় পরিবর্তন এনেছেন।

ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণা, সাথে দেওয়াল লিখন,গণ শুনানি, সাক্ষাৎকার, নিয়মিত তহশিলদার অফিস পরিদর্শন, গণসংযোগের মাধ্যমে ভূমি অফিসে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানী বন্ধ ও দালাল মুক্ত পরিবেশে সরকারি নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সেবা প্রদান করে চট্টগ্রাম জুড়ে সমাদৃত এখন ‘আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিস’।

জানা যায়, ই-মিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভূমি অফিস শতভাগ অনলাইন সেবা দিচ্ছে। অনেকেই মুঠো ফোনে কল করে, সরাসরি সাক্ষাৎ এ দ্রুত ও স্বচ্ছতার সহিত সেবা পাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগ্রাবাদ ভূমি অফিস বদ্ধ পরিকর।

প্রতিবেদক বিভিন্ন সময়ে সরেজমিনে গিয়ে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা একাধিক লোকের সাথে কথা বললেও তাঁদের কাছ থেকে বিরুপ কোন মন্তব্য পাননি। উল্টো কোন সেবাপ্রার্থী সেবা পেতে বিলম্ব হয়েছে বা হয়রানি হয়েছেন এমন কি এসিল্যান্ডের কাছে গিয়ে সেবা বা পরামর্শ পাননি এমন অভিযোগ বা নজির খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে সেবাপ্রার্থীরা আগ্রাবাদ ভূমি অফিস হতে অনায়াসে সেবা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অফিসে আগত সদরঘাট এলাকার শাকিল আহমদ ও আবু তাহের।
এছাড়াও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে তথ্য পাওয়া যায়, ইতিমধ্যে আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। মিউটেশন (ই নামজারী) তে শতভাগ সফলতা অর্জন করা, উন্নয়ন কর আদায়ে সফলতা, ভিপি সম্পত্তির লীজ মানি আদায়ে শতভাগ সফলতা, পাহাড়ে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান, বাহিরে জনসম্মুখে শুনানির মাধ্যমে জমির বিরোধ নিষ্পত্তি, ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করে আগ্রাবাদবাসীর দৃষ্টি কেড়েছেন বর্তমান এসিল্যন্ড।

তিনি স্বচ্ছতার সহিত ভূমির সকল কার্যক্রম, ভেজাল বিরোধী অভিযান ও করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করে বেশ সমাদৃত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চৌকস এ কর্মকর্তা। নগরীর ভূমিসেবা প্রার্থীদের কাছে আতঙ্ক নয় বরং ভরসাস্থল এখন আগ্রাবাদ ভূমি অফিস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৫ তম ব্যাচের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ‘এক সময় সবচেয়ে অবহেলিত সেক্টর ছিল ভূমি। তহশিল কিংবা এসিল্যান্ড অফিস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মনোভাব ছিল। আমরা সেটা কাটিয়ে উঠেছি। এখন ভূমি অফিস থেকে সেবা পাচ্ছে না এ কথা কেউ বলতে পারবে না। ভূমি অফিসগুলো সেবাবান্ধব হয়ে উঠেছে। অফিসে সিসিটিভি, হেল্প ডেস্ক কিংবা সেবাকুঞ্জ স্থাপন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা আর প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। এ পদক্ষেপ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি