পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে পুরো বংলাদেশ আনন্দে ভাসছে। এই আনন্দে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোও। বিশেষ করে ভারতের কলকাতা আর বাংলাদেশ একই বাংলা ভাষা-ভাষী হওয়াতে আনন্দটা আরো গভীর হয়েছে। যার প্রতিফলন দেখা গেল কলকাতার মিডিয়া গুলাতে।

পদ্মা সেতু নিয়ে কলকাতার শীর্ষ অনলাইন বর্তমানে বিশেষ আর্টিকেল ছাপা হয়েছে। এর হুবুহু দৈনিক বার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

কবিগুরু তাঁর কবিতায় পদ্মা নদীকে নিয়ে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, হে পদ্মা আমার, তোমায় আমায় দেখা শত শত বার। তোমারে সঁপিয়া ছিনু আমার পরান। চেয়ে ছিল তোমাপানে হাসিভরা মুখে। খরশ্রোতা পদ্মাকে নিয়ে গর্ব বাংলাদেশের। এবার সেই গর্ব আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর। যার নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। ৬.১৫ কিমি এই সেতু তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সরকারের অর্থে। কারণ বিশ্ব ব্যাঙ্ক মাঝপথেই এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। সেই দেখে হাত গুটিয়ে নেয় এডিবি ও আইডিবিও। টেন্ডার পাওয়া জাপানের সেতু নির্মাণকারী সংস্থা জাইকাও সরে দাঁড়ায়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টাকাতেই পদ্মা সেতুর নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। চায়না মেজর গ্রুপ কোম্পানি বানিয়েছে এই সেতু। আজ, শনিবার বিশাল জন সমাবেশে উদ্বোধন করা হল এই সেতুর। ২০১৪ সালের ২৬ শে নভেম্বর কাজ শুরু হয় পদ্মা সেতুর। যার কাজ শেষ হবে ৩০ জুন ২০২২। জানা গিয়েছে, এই সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় সারারাত জেগেছে বাংলাদেশের মানুষ। এই সেতুর উদ্বোধনের ফলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলপথে দূরত্ব অনেকটাই কমবে। কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১৫০ কিমি। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সময় বাঁচবে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু নির্মাণকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন। কারণ এই সেতু নির্মাণের জন্য ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা উল্লেখযোগ্য। এই সেতুতে শুধুই যান চলাচল নয় চলবে ট্রেন। আগে কলকাতা থেকে বাসে ঢাকায় আসতে হলে বাসে করে পদ্মা পার হয় স্টিমারে চেপে যেতে হয়। তাতে লাগে অনেকটা সময়। পদ্মা সেতু চালু হলে বাস করেই একেবারে সড়ক পথেই সরাসরি ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের তীরে থাকা দুই বন্দর মংলা ও চট্টগ্রামের মধ্যে প্রায় ১০০ কিমি দূরত্ব কমে যাবে। যার ফলে বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ভারতের সঙ্গে সুবিধা হবে বলেও জানা যাচ্ছে