নানা আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে রবিবার উদ্যাপিত হয়েছে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকে যাদের অবদান ছিলো অনন্য তাঁদের সংবর্ধনা সম্মাননা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো এ সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।

সংবর্ধনা পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে বাউবি ক্যাম্পাসে নতুন ও পুরনোদের এক মহামিলন ঘটে। আবেগ উচ্ছ্বাস ভালোলাগায় প্রবীণ প্রাক্তনেরা ক্যাম্পাসে দিনভর স্মৃতিময়তায় মুখর হয়ে ওঠেন। যে ক্যাম্পাসে তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে সেই ক্যাম্পাসে প্রাণের টানে ছুটে এসেছিলেন তারা। অতীত রোমমন্থন করে আবেগপূর্ণ মূহুর্ত কাটিয়েছেন অবসরপ্রাপ্তরা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে দিনভর বর্তমান তরুণ মেধাবী প্রজন্মের দক্ষ বাউবি’র বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষক, উদ্যামী পেশাজীবীসহ সকলের সাথে পরিচিত হতে দেখা যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তাদের মেধা ও অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাউবি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংবর্ধণা ও পুনর্মিলন অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।

তিনি সকলকে পারিবারিক প্লাটফর্ম তৈরির আহবান জানিয়ে বলেন, এখন থেকে যারা অবসরে যাবেন তাদের ছবিসহ তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা হবে যাতে সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে বাউবিকে অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। উপাচার্য অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে সম্মাননা পত্র তুলে দেন।

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু ও ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ বাউবি’র প্রধান কার্য্যালয় এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কয়েকশত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯২ সালে বাউবি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবারই প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার-এর উদ্যোগে অবসরপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সংবর্ধণা ও পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।