বিড়ি শিল্প ধ্বংসে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বেলা ১১ টায় রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ‘বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের উপর কোন প্রকার শুল্করোপ করা হয়নি। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নিম্ন স্তরের। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। তাই নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ও শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে।’

বক্তরা আরো বলেন, “বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে অগ্রীম আয়কর মাত্র ৩ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এবং দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মার বুকে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় মানববন্ধন থেকে বিড়ি শ্রমিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।