বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। “সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা (আইপিএম) এর একটি উপাদান হিসেবে বিভিন্ন পরজীবীর পালন এবং তাদের প্রায়োগিক দিক” বিষয়ক এ প্রশিক্ষণের বারি’র বারি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকালে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম। অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির আইপিএম ল্যাব এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. রাঙ্গাসুয়ামি মুনিয়াপ্পান। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।

বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগ ও সিমিট-ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ আপিএমএ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ইউএসএআইডি মিশন, বাংলাদেশ এর অর্থায়নে আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও এখনও কৃষিতে এর বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ক্রমহ্রাসমান জমিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিভিন্ন সমন্বিত বালাই দমন প্রযুক্তির নিবন্ধন দেয়া শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬৬টি জৈব বালাইনাশক নিবন্ধিত হয়েছে এবং এসব জৈব বালাইনাশকের অধিকাংশই কৃষকের মাঠে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে। জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা বারি’র বিভিন্ন আইপিএম প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে নিজেদের দেশের কৃষিতে তা প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।