সাফ ফুটবলের ইতিহাসে নতুন করেই ইতিহাস লিখে নিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তিলে তিলে অনেক বছর ধরে কোচ ছোট্টন এই দলটিকে গড়েছেন। আর ফাইনালের আগে তো নারী ফুটবলের বাফুফের চেয়ারম্যান মাহপুজা আক্তার কিরণে বলে দিলেন, এই দলটি অনেক বছর ধরে এক সঙ্গে খেলছে। ওদের পক্ষে ফাইনাল জেতা সম্ভব। সেটাই করে দেখাল বাংলাদেশের নারী ফুটবল টাইগার দলটি। আর দলটির নতুন ইতিহাসে নতুন তারার নাম অধিনায়ক সাবিনা। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পেলেন গোল্ডেন বুট।

সহজ ভাষায় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে প্রথমবার শিরোপা জিতিয়েছেন সাবিনা খাতুন একে বারে সনামনে নেতৃত্ব দিয়ে। এ আন্তর্জাতিক আসরে জিতেছেন গোল্ডেন বুট সর্বোচ্চ ৮ গোল করে । এছাড়া দলকে শিরোপা জিতিয়ে টুর্নামেন্ট সেরাও নির্বাচিত হলেন সাবিনা। পেলেন গোল্ডেন বুট সাবিনার।

কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। এ ম্যাচে সাবিনা কোনো গোলের দেখা না পেলেও করেছেন একটি অ্যাসিস্ট।

আসরের শুরু থেকেই সেরা কিছু করে দেখাতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। আসর শুরুতে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচে জোড়া গোল করেন সাবিনা। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক। গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ ‘এ’র চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে ছোটনের শিষ্যরা। এ ম্যাচে অবশ্য গোলের দেখা পাননি সাবিনা। তবে গোল করাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

সাফের চলতি আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ ম্যাচে ৩ গোল করে আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন সাবিনা। আর তাতে ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি। এছাড়া সাবিনার পরে ৪ গোল করে যথাক্রমে দুইয়ে আছেন বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না, কৃষ্ণা রানি সরকার, ভারতের ফরোয়ার্ড আঞ্জু তামাং ও পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড নাদিয়া খান। সব মিলিয়ে চলতি সাফে সর্বোচ্চ গোলের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। আসরে পাঁচ ম্যাচে সাবিনা-স্বপ্নারা গোল করেছেন ২৩টি। হজম করেছেন মাত্র একটি গোল।