বাংলাদেশের ক্রিকেটে তারকাদের তারকা বলে খ্যাত সাকিব আল হাসান নামটাই যেন শুধু ঝামেলার সাথে বসবাস করে। ক্যারিয়ারের মাঝখান থেকে শুরু করে ২০২২ সাল অবদি সাকিবের নামের সাথে কত যে ঝামেলা আর নেতিবাচক ঘটনার জড়িয়ে আছে এর কোন অন্ত নেই। সবে মাত্র জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির রেশ কেটেছে। সেটা মানুষের হজম হবার উপায় কোথায়? এটা যে সাকিব আল হাসান বলে কথা। তিনি ঝামেলা ছাড়া থাকতেই পারেন না। আর টাকা গন্ধ পেলে তো সাকিব অনেক কিছুই পারেন এটা তো তিনি বহু বার প্রমাণ করেছেন।

সেই টাকার গন্ধ পেয়েই সাকিব নাক টানলেন শেয়ার বাজারে। যে কারণে সাকিব আল হাসানের নামটা শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ নিজের বাবার নাম বদলের বিতর্কে জড়ানো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব এবার দুদকের নজরে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গেল কয়েক মাস ধরে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে বেশি আলোচিত সাকিব। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠছে। অনেকে তার এসব কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন। অথচ তিনিই আবার ২০১৮ সাল থেকে দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে দুদক সচিব জানান, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দুদকের শুভেচ্ছাদূতের চুক্তি বিনাপারিশ্রমিকে। এর আগে গণমাধ্যমে কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি ও দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, সাকিবের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আমরা কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

সম্প্রতি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক অনুসন্ধানে শেয়ারে ব্যাপক কারসাজির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে অন্যদের সঙ্গে নাম উঠে আসে মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের।

এর আগে, গত মাসে জুয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবির তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন সাকিব। চুক্তি বাতিল না করলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন টাইগার অলরাউন্ডার- বিসিবির এমন অনড় অবস্থায় শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। একের পর এক বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে বাবার নাম নিয়ে আলোচনায় আসেন সাকিব। খন্দকার মাসরুর রেজার পরিবর্তে কোম্পানি ফর্মে নাম দেয়া হয়েছে কাজী আব্দুল লতিফ।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর চলতি বছর জানুয়ারিতে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি ব্রোকারেজ হাউসের যাত্রা শুরু করে। ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান সাকিব আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেয়ারবাজার কেলেংকারিতে আলোচিত আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।

১৫ ডিসেম্বর ২০২১ এ স্বাক্ষরিত কোম্পানি ফর্মে দেখা যায় খন্দকার মাসরুর রেজার পরিবর্তে সাকিবের বাবার নাম দেয়া হয়েছে কাজী আব্দুল লতিফ। এমন কাণ্ড আবারও জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। যদিও বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন আবুল খায়ের হিরু। জানান, ভুলটি করেছে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতর-আরজিএসসি।