গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় দু’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক যুবক তার চাচাকে পিটিয়ে এবং কালিয়াকৈরে গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেছে তার স্বামী। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আমছের আলী ওরফে তুফান মিয়ার দুই ছেলে নবী হোসেন ও মফিজুল ইসলামের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে মফিজুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে মাসুদ রানা জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে যাচ্ছিলেন। পথে তারা সুলতানপুর গ্রামের কানারমোড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা নবী হোসেনের ছেলে নূর হোসেনসহ কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করে। এসময় যুবকরা মফিজুলকে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত মফিজুলকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী জানান, গত ১২ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলহার মধুপুর এলাকার শামসুল হকের মেয়ে শামসুন্নাহার শিলাকে (২২) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন একই এলাকার আশরাফ উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০)। এ দম্পতি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। প্রায় ৬মাস আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় রুবেলের চাকুরী চলে যায়। সংসারে অভাব অনটনের কারনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়শঃ ঝগড়া বিবাদ হতো। বুধবার তাদের মাঝে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রুবেল উত্তেজিত হয়ে উঠে। এসময় সে বটি দা’ দিয়ে শিলাকে গলা কেটে খুন করে। পরে নিজেই ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকিয়ে দেয়।

তিনি জানান, খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবেলকে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করে। কিন্তু সে বাইরে না এসে বটি দিয়ে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় বিকেলে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। এসময় রুবেলের পুরো শরীর রক্তে ভেজা ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।