রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদের নিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে। আজ বুধবার পৌনে ৩টার দিক থেকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পুলিশ সে ব্যবস্থা নিয়েছে। কারণ আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি হচ্ছে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার স্যারের নির্দেশে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং করে যাব।’

এ পর্যন্ত কতজনকে আটক করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা অ্যাকশন মুডে আছি, অ্যাকশন মুডে থাকার সময় এ ধরনের কথা বলা যাবে না।’ পুলিশের কেউ আহত হয়েছে কি না, এ বিষয়ে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা অন অ্যাকশন, সো অ্যাকশনের পরে কথা বলব।’

এদিকে, সংঘর্ষ শুরুর পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। যত হামলা করা হোক আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের এই গুলি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তাদের গুলিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের আলদীন, জুয়েল, আরিফ, নিয়াজ, মুর্শেদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তারা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, তাদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়েছে।’