ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথের গাড়িচালক সম্রাট খানের (২৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরেক গাড়িচালকের স্ত্রী সীমা খাতুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

নিখোঁজের দুদিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আটক সীমা খাতুন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। শনিবার সকালে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে প্রাডো জিপ গাড়ির সিটের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সম্রাট খানের বাড়ি ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা (আলহাজ্ব ক্যাম্প) এলাকায়। তার বাবার নাম আবু বক্কর।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেননি।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, সম্রাট নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়িচালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল।

রাত ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করে। এক পর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করেন সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে মমিন।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় গাড়ির মধ্যে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গাড়িচালক সম্রাট খানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে- তা এখনো জানা যায়নি।