ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা আদালত চত্তরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হল, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাজুরা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মন্তেজ মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (৩২), খাজুরা জোয়ারদার পাড়ার রুহুল আমিন (৩০) এবং বড় খাজুরা গ্রামের মন্নু মিয়া (৩৭)।

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় বড় খাজুরা গ্রামের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়িতে বাবা ও মা’কে না পেয়ে তাদের খোজে বাড়ি সংলগ্ন জামতলা মোড়ে আসে। সেসময় আসামী বাদশা মিয়া ওই ছাত্রীর মুখে রুমাল দিয়ে পাশ্ববর্তি আম বাগানে নিয়ে যায়। এরপর রুহুল আমিন ও মন্নু মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই ছ্রাত্রীকে গণধর্ষণ করে।

এরপর রাত ১২ টার দিকে স্থানীয় তামান্না পার্কের সামনে তাকে রেখে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সে বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। পরের দিন ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। সেই মামলার শুনানী শেষে আদালত বাদশা মিয়া, রুহুল আমিন ও মন্নু মিয়াকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দন্ড করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান, আদালত দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খূশি। আসামী পক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম জোয়ারদার জানান, তারা এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।