ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) মধ্যে ভবিষ্যত গবেষণা পরিকল্পনা সহযোগিতা প্রণয়ন শিক্ষা ও গবেষণায় পারষ্পারিক সহযোগিতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রাজিব মোহন পান্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বদানের কথা স্মরণ করেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এ অঞ্চলের গণমানুষের নাড়ির টানের ব্যাপারে তিনি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারনে অত্যন্ত নিকট প্রতিবেশী দু’দেশের মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারনা ও প্রযুক্তি আদান-প্রদানের বিষয়টি তাঁর বক্তৃতায় বিশেষ গুরুত্ব পায়। তিনি বাংলাদেশে উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক এবং গবেষণা সহযোগিতা বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সাফল্যেও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সভাপতির ভাষণে বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক, ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষায় সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালা শেষে প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠ, ল্যাবরেটরিসমূহ ঘুরে দেখেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নত শিক্ষাদানে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মানবেন্দ্র দত্ত চৌধুরী, প্রফেসর কবরী দত্ত চৌধুরী, প্রফেসর দীপেন্দু দাস, প্রফেসর পিযুষ পান্ডে, রেজিস্ট্রার ড. প্রাদুশ কে. নাথসহ বশেমুরকৃবির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধানগণ ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।