সৌদি আরবকে কিছুতেই পরমাণু প্রযুক্তি দেয়া যাবে না। কারণ, তা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হবে। এমনটাই মনে করছেন ইসরাইলের বিরোধী দলের সদস্যরা। বলা হচ্ছে, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরব পরমাণু শক্তির দাবি তুলেছে। কিন্তু ইসরাইলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ এবং লিকুদ কর্মকর্তারা এটা ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কিনা তা নিয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য চুক্তিতে বলা হচ্ছে যে সৌদি আরবকে বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি বিকাশ এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর বিনিময়ে রিয়াদ চীনের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে। আর ইসরাইল একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কিন্তু লাপিদ এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি আরবের সাথে যেকোনো ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করি আমি। চুক্তিটি ইসরাইলের এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিপদগ্রস্ত করে ফেলবে। সৌদি আরবকে যেকোনো পর্যায়ের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ দেয়া নিষিদ্ধ।’
তিনি এই বক্তব্য রাখার আগে ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তারা বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে সৌদি দাবিতে দৃশ্যত অস্বস্তি প্রকাশ করেন।
তিনি ইসরাইলি চ্যানেল ১২-এ বলেন, ‘বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু তাদের মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ব্যবস্থা নেই।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন টেবিলে এটিই আছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত হওয়া আশঙ্কা থাকার কারণে সৌদি আরবের কাছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ দিতে ইসরাইল রাজি হতে পারে না।’
সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা বলেছৈন, স্থানীয় সমৃদ্ধকরণসহ মধ্যপ্রাচ্যে বেসামরিক পরমাণু প্রকল্পের প্রতি ইসরাইল সমর্থন দিতে পারে না।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর