বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির জন্য সোমবার (২০ নভেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে দুপুর ২টার দিকে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ‘মামলার মেরিট’ অনুযায়ী মির্জা ফখরুল জামিন পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এদিন রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান। অন্যদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর (আজ) দিন ধার্য করেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার পরদিন ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।