বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)’র ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস বুধবার উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ দিনটিতে গাজীপুর মহানগরীর সালনাস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পোষ্ট গ্র্যাজুয়েটশন থাকা খুবই প্রয়োজন। এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি করার জন্য অনেকেই দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। আর তাদের ১০জনের মধ্যে দুই-একজন দেশে ফিরে আসছেন। আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ সমস্যা বেশ প্রকট।

তিনি আরো বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও মাস্টার্স ও পিএইচডি ডেভেলপ হতে পারেনি। মাস্টার্স ও পিএইচডি ডেভেলপ না হওয়ার কারণে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ছাড়া কোন শিক্ষক তার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।

পরে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শণী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। এরআগে সকালে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন ও আনন্দ র‌্যালী করা হয়। এছাড়াও বেলুন ও কবুতর উড়ানো, বিকেলে ডকুমেন্টরী প্রদর্শন ও আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

৫জন পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা-২০২৩
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষক/গবেষককে গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন, ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং াবভাগের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কৃষি তত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. দীনেশ চন্দ্র সাহা এবং গাইনোকলজি, অবস্ট্রেটিক্স এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেল্থ বিভাগের অধ্যাপক ড/ মো. নাজমুল হক। এবাই প্রথম সম্মাননার প্রবর্তন করা হয়েছে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন শস্যের জাত উদ্ভাবনে কাজ করেন। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন শস্যেও ৭৭টি জাত এবং ১৬টি প্রযুক্তি উদ্ধাবন করেছেন।