পাবনার প্রবীন সাংবাদিক, নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এইচ কে এম আবু বকর সিদ্দিকের অসুস্থতা খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা: নূরজাহান খাতুন।
মগবাজারস্থ ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে শুক্রবার দুপুরে তিনি দেখতে যান। দীর্ঘসময় তিনি অসুস্থ সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিকের অবস্থান করেন এবং তাঁর শারীরিক খোঁজ খবর নেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও শান্তনা জানান।
অতিরিক্ত সচিব নূরজাহান খাতুন বলেন, তিনি সাদা মনের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ।
তিনি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। তাঁকে আমার পরিবারের একজন অভিভাবক মনে করি। মহান আল্লাহপাক তাকে দ্রুত সুস্থতাদান করুন সেই প্রার্থনা করি।
বিকেলে দেখতে আসেন বিগ বাজারের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক তরিকুল ইসলাম। তিনিও অসুস্থ তার শারীরিক খোঁজ খবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়াও পাবনা ও ঢাকায় অবস্থানকারী নানা শ্রেণিপেশার মানুষ স্বশরীরে দেখতে আসেন ও মোবাইলে খোঁজ খবর নেন।
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান তাঁর রোগমুক্তি কামনা করেছেন।
পাবনার প্রবীন সাংবাদিক, নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এইচ কে এম আবু বকর সিদ্দিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আব্দুল মালেকের তত্বাবধানে রয়েছেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রবীন সাংবাদিক এইচ কে এম আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক চাঁদনী বাজার ও দৈনিক আজ ও আগামীকাল পত্রিকার পাবনা ব্যুরোর পরিচালক। তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য। টেবুনিয়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, টেবুনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন প্রধান উপদেষ্টা, আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি, মালিগাছা মজিদপুর মসজিদ, গোরস্থান, ঈদগা ও আবাসিক এতিমখানার উপদেষ্টা এবং টেবুনিয়া ওয়াছিম পাঠশালার দাতা সদস্য। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত এবং সংগঠক।
তার বড় ছেলে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী কামাল আহমেদ সিদ্দিকী চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক, কিডনী ও হার্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ সেবন করে আসছেন। সম্প্রতি ঢাকায় সামরিক হাসপাতালে তার কিডনী থেকে পাথর অপসারণ ও হার্টে এনজিওগ্রাম করে হার্টের তিনটা ব্লক নিশ্চিত করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিছুদিন ধরে তিনি বেশ শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা চললেও গত ৬ ফেব্রুয়ারি অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আব্দুল মালেক জানান, সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিকের হার্টে ও লাং ফাংশনে পানি জমেছে। হার্টের ব্লক থাকায় ইতোমধ্যে হার্ট ফেইলও করেছে। তাঁর হার্টের বাইপাস সর্জারী বা ওপেন হার্ট সার্জারী করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বাবার আশু রোগ মুক্তি ও সুস্থতা চেয়ে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার ছোট পুত্র পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি ও পাবনা কলেজের প্রভাষক আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী।