মিয়ানমারের ওপারে রাখাইন রাজ্যে চলা সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত একটানা দুই-তিন সপ্তাহে জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তার মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও গত দুদিন ধরে সীমান্তের ওপারে ফের থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি। ওপারের ফায়ারের শব্দ এপারে ভেসে আসছে। এমন ঘটনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রেবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ও শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ও সকালে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য মংডু শহরসহ আশপাশের এলাকায় এ সংঘর্ষের কারণে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ-হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকায় গুলির শব্দ ভেসে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে মিয়ানমার সেনা ও সশস্ত্র আরাকান আর্মি গোষ্ঠীর মধ্যে অব্যাহত লড়াইয়ের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের অনেক বাসিন্দা সীমান্তের নাফ নদীতে ছোট ছোট নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীটিতে মিয়ানমারের কতজন নাগরিক আছেন তা জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারে ওপারে রাখাইন রাজ্য চলা গোলাগুলির শব্দ এপারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ-হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি।তবে সকালে তেমন গুলির শব্দে শোনা যায়নি।

এদিকে রাখাইনে তাদের অভ্যন্তরে মংডু শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা, নাফপুরা এলাকা এ সংঘর্ষ হচ্ছে। এমন ঘটনায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে তিনি জানায়।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি’র) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সেখানে দুটি গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে বলে জানা গেছে এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করাসহ সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছে বিজিবি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানোর হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।