নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুকুর সেচের সময় একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমি মার্কেটসংলগ্ন মিয়া মেম্বারের মাছের খামারের একটি পুকুরে ইলিশটি ধরা পড়ে।
ইলিশটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় অনেকেই মাছটি দেখতে আসেন।
পুকুর মালিকের ছেলে মোহাম্মদ আবু নাসের সজিব বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পুকুরে সেচ দেওয়া হয়। সকালে পানি কিছুটা কমে এলে জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু করা হয়। এ সময় জালে অন্য মাছের সঙ্গে ইলিশ উঠে আসে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে ভালোভাবে দেখে নিশ্চিত হই এটি ইলিশই। ইলিশটির ওজন প্রায় এক কেজি। ’
আবু নাসের জানান, তাদের পুকুরের কাছে বামনী নদী থাকলেও পুকুরে কখনো জোয়ারের পানি ঢোকেনি। তবে গত বছর তারা নদী থেকে ধরে আনা কিছু কোরাল মাছের পোনা পুকুরে ছেড়েছেন। ধারণা করছেন, ওই পোনার সঙ্গে ইলিশ মাছের পোনাও পুকুরে আসতে পারে।
স্থানীয় সাংবাদিক মো. আবদুল হামিদ রনি বলেন, ‘জ্যান্ত ইলিশ দেখার সৌভাগ্য জেলে ছাড়া কারো হয় না। আজ দেখলাম। লোনাপানির এ মাছটি পুকুরে বড় হয়েছে শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। এ মাছ পুকুরে চাষ সম্ভব কিনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গবেষণার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম সরকার বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধরা পড়া মাছটি ইলিশ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি মাছটির ছবি ও ভিডিও দেখেছেন।