পাবনা সদর উপজেলার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২০ বছর আত্মগোপন থাকার পর গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান। এর আগে শনিবার (২ মার্চ) রাজধানী ঢাকার ৫ শাহ মাগদুম এভিনিউ সেক্টর নং-১২, ১৩ ও ১৪ নং মোড় এ রেডিকেল হসপিটালের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি মো. চাঁদ মিয়া ওরফে চাঁদু মিয়া (৫০) পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুরের মৃত পঁচাই প্রামানিকের ছেলে। ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের চর রাণীনগরের চাঞ্চল্যকর এবাদুল হক হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর চর রানীনগরের মো. সোবাহান শেখের ছেলে মো. এবাদুল হককে তুলে নিয়ে স্কুল ঘরের মধ্যে বন্দি করে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ
ঘটনায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মো. ইউনুস শেখ। এই ঘটনার দুই বছর পর ২০০৫ সালে ১৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ আসামিদের বিভিন্নজনকে নানা মেয়াদে সাজা প্রদান করে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জন কারাগারে থাকলেও এতোদিন পলাতক ছিলেন চাঁদ মিয়া। এমতাবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা এবং র্যাব-১, সিপিসি-২ উত্তরা এর যৌথ নেতৃত্বে র্যাবের এক দল রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।