মার্কিন ত্রাণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ‘ভুলবশত ঘটেছে’ বলে দাবি করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় যুদ্ধে এমন ঘটনা স্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, গতকাল (১ এপ্রিল) একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বাহিনী অনিচ্ছাকৃতভাবে গাজা উপত্যকায় বেসামরিকদের ক্ষতি করেছে। যুদ্ধে এমন হয়ই। আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আমরা সবকিছু করব।’
ইসরাইলি বাহিনী এ ঘটনায় ‘একটি স্বাধীন, পেশাদার ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার’ মাধ্যমে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে, গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় মার্কিন দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) দেইর এল-বালাহতে তারা নিহত হয়।
সাতজনের বেশিরভাগই অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ফিলিস্তিনের নাগরিক ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তারা ব্যাখ্যা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলকে।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) বলেছে, তাদের কর্মীরা একটি বিরোধহীন অঞ্চলে ত্রাণ দিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের লোগোযুক্ত দু’টি সাঁজোয়া গাড়ি দেইর আল-বালাহতে ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার হয়।
সংস্থাটি বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সাথে তাদের গতিবিধির সমন্বয় ছিল। তথাপি তারা এই হামলা করেছে। ডব্লিউসিকে দল গাজায় ১০০ টন খাদ্য সহায়তার একটি নতুন চালান বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে কেবল বিমান হামলার কথা থাকলেও মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা সূত্রে হারেৎজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ইসরাইলি ড্রোন ডব্লিউসিকে কনভয়ে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একটি গাড়ি আক্রমণ করা হয়। তারপর লক্ষ্যবস্তু করা হয় গাড়ির কিছু যাত্রীকে, যারা অন্য দু’টি গাড়িতে চলে যায়।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট