ইসরাইলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সকল কর্মকর্তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধান থেকে শুরু করে অধস্তন, সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে হবে।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, অনেক অফিসার ‘যুদ্ধ তদন্তের প্রস্তুতির জন্য’ আইনি প্রতিনিধিত্ব চেয়েছেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হালেভি আইনী পরামর্শ পাওয়ার পর চিফ অফ স্টাফের কাছে তার পদত্যাগপত্র লিখেছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, তদন্ত কমিটি গঠিত হলে তার সকল বিবৃতিও উপস্থাপন করা হবে।’

শিন বেটের গার্হস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা রনেন বার-এর প্রধানসহ আরো বেশ কয়েকজন অফিসারের তালিকা করা হয়েছে, যাদেরকে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে। তাদের মধ্যে হালেভিই প্রথম।

চ্যানেল ১২ আরো জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য হালেভির স্থানে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান এবং মেজর জেনারেল এলিজার টোলেদানোসহ অনেক কমান্ডারকে এখন ব্যর্থতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অথচ একসময় সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়েছিল।

রাজনৈতিক মহল এখন আশা করছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইয়াল জামির হালেভির স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এতে প্রায় ৩৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আরো ৭৭ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। অন্যরা এখনো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের তীব্র সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি