চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।

এরআগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ, ১০ বছর পর জেলার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে প্রবেশ করলো।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আপাতত দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।

এদিকে, আজই পৌনে ৩টায় যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্য‌বেক্ষণাগা‌রের ইনচার্জ জা‌মিনুর রহমান জানান, গত প্রায় ১৮ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

তিনি জানান, বাতা‌সে জলীয় বা‌ষ্পের প‌রিমাণ অনেক বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হ‌চ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় দে‌শের সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪২ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস, শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দে‌শের স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস এবং সোমবার (২৮ এপ্রিল) তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশ‌মিক ৮ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।

তি‌নি আরো জানান, জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি আছে। জনস‌চেতনায় জেলা প্রশাস‌কের পক্ষ থে‌কে প্রতিদিনই জেলাজু‌ড়ে মাইকিং করা হ‌চ্ছে। চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থে‌কে ৪৩ ডিগ্রিতে উঠা-নামা কর‌ছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে। সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।