নওগাঁর রাণীনগরে পারিবারিক দ্বন্দ্বের বলি হয়েছে অর্ধশতাধিক কলাগাছ। এছাড়া কিছু গাছ কেটেও ফেলাও হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত চলমান। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি আর না সেই জন্য আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধান চান ভুক্তোভোগী মোছা: তৃপ্তি।

অভিযোগকারী সিঙ্গারপাড়া গ্রামের মৃত-আবুল হোসেনের মেয়ে মোছা. তৃপ্তি জানান উপজেলার সিঙ্গারপাড়া রাস্তার পাশে থাকা ৮শতাংশ জমি বেশ কয়েক বছর আগে পার্শ্ববর্তি আনোয়ারের ছেলে মোতাহারের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর মোতাহার আবার সেই জমি ফেরত দেয়। জমি ফেরতের পর মোতাহার নিজেকে ওই জমির কিছু অংশের অংশিদার দাবী করে ওই জমিতে কোন প্রকারের গাছ রোপন না করা ও বেড়া দিয়ে ঘেরাও না করতে বাঁধা প্রদান এবং বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদান করে। কিন্তু তিনি নওগাঁয় বসবাস করার কারণে জমি ঠিকঠাক দেখভাল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ওই জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করে কলাগাছসহ অন্যান্য গাছ রোপন করেন। সম্প্রতি সেই গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। এই বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন তাই থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর যেহেতু হঠাৎ করেই টাকার মালিক হওয়া মোতাহারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে তাই মোতাহার লোকের মাধ্যমে জমি থেকে গাছগুলো উপড়ে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে মোতাহার বলেন তৃপ্তির পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। তাই সেই মামলা তুলে নিতে তারা আমাকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এছাড়া আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতেই মূলত এমন মিথ্যে ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়েছে তৃপ্তি। আমি কোন ভাবেই গাছ উপড়ে ফেলা কিংবা কেটে ফেলার সঙ্গে জড়িত নই। আমিও চাই একটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির একটি স্থায়ী সমাধান হোক।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই শামীম রেজা বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুতই তদন্তের মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি