পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।