৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে বুধবার গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হুেমণ। এ তিনটি উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণাভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নির্বাচনী সামগ্রী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সমূহের প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এবং বুধবার সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান।

গাজীপুর সদর উপজেলা- মাত্র ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। ভোট কেন্দ্র ৪৯টি। মোট ভোটার ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৭ হাজার ১০২ জন, নারী ৬৭ হাজার ৩৩ জন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এদের মধ্যে চার জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। এরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কফিল উদ্দিন বিএননি (দোয়াত কলম), বৃহত্তর মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শফি (কাপপিরিচ) ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আতিকুজ্জামান মোহাম্মদ (মোটরসাইকেল)। অপরজন হলেন, সদ্য বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন (ঘোড়া)। চেয়ারম্যান পদে মূলত: চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলনের সঙ্গে অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমন আভাস পাওয়া গেছে। তবে অপর তিন প্রার্থীও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। স্থানীয়দের মতে, আওয়ামীলীগের ৪জন প্রার্থী থাকায় তাদের কর্মী সমর্থকদের ভোট বিভক্ত হবে। আর ইজাদুর রহমান মিলন এককভাবে নির্বাচন করায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।

কাপাসিয়া উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৫১৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬১৭ জন এবং নারী ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯০২ জন। এ উপজেলায় মোট ১১৯টি ভোট কেন্দ্র। এখানে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডঃ আমানত হোসেন খান (মোটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন সেলিম (আনারস)। এখানে দুই প্রার্থী একই দলের হওয়ায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

কালীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৬২ জন। এখানে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৬২জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৩৬ জন ও নারী ১ লক্ষ ২০ হাজার ২৪ জন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৯০টি। এ উপজেলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যুক্ত তিনপ্রার্থী চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।এরা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আশরাফি মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমজাদ হোসেন স্বপন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটারা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবে।