দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর।
সফরকালে পুতিন আজ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সামনাসামনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবেন তারা।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আজ দিনের পরের ভাগে পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।
এছাড়া ১৯৪৬ সালে হারবিনের স্বাধীনতার সময় প্রাণ হারানো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন পুতিন।
বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেন–সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তার সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেন–সংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।
ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে যে, এই সপ্তাহে তাদের আলোচনার সময়, পুতিন এবং শি জিনপিং ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতা সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়গুলির উপর বিস্তারিত আলোচনা করবেন’ এবং রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার আরও উন্নয়নের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবেন।
দুই দেশ তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্পষ্ট করেছে যে আগামীর বিশ্ব কেমন হওয়া উচিত, তারা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা পুনর্নির্মাণ করতে চায়।