ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনের এমপি’র বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্ণিং অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি বিগত ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর হতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ আচরণ বিধি লংঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) তাঁর পছন্দের লোককে প্রার্থী তিনি এগুলো করছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কর্মি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে ডেকে এনে আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার জন্য প্রভাবিত করছেন। এছাড়াও এমপি’র ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে আনারস প্রতীকের পক্ষে প্রচারনার জন্য তিনি মাঠে নামিয়েছেন। তিনি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এবারের উপজেলা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা ও বিধি থাকলে তিনি এসবের তোয়াক্কা করছেন না। এমপির এই কর্মকান্ড নির্বাচনী আচরণ বিধির ২২ এর ১ ও ২ উপধারা এবং ৩১ ধারা সরাসরি লংঘন বলে তিনি উলেখ্ করেন। আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ঈশ্বরদীর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য
প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আচরণ বিধি লংঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান।