ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান এবং ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণ শ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করেন রিজভী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষার প্রতিষ্ঠান। এখানে সাংবাদিকরা তো যেতে পারে। সাংবাদিকরা দেশের বাইরে কানাডা, মালয়েশিয়া এবং দুবাইয়ে বাড়ি করেননি। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি এসব কী কথা বলছেন? আপনাদের কাছে লোক যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে দেশের বাহিরে বাড়ি করেছেন, তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন- সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশ তার দিন অতিক্রম করছে। অতিক্রম হওয়া দিন কোনটিই সুখকর নয়। এখানে জীবন ও সম্পদের কোন নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালিতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না।
এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।
রিজভী বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভিতর যেন বসবাস করছি। আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কিসের উপর দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাই বলতে পারবো না। শুধু ব্যাংক থেকে ১২০০০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না, এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা, এরা সবাই ক্ষমতাসীনের আত্মীয়-স্বজন ও কাছের লোক।