ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কলকাতার নিউটাউনে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যেতে পারে। আর আমরা ভারতের পুলিশের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, হত্যাকারীরা এমনভাবে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছে যাতে কোনো হদিস না মেলে। মরদেহ গুমের জন্য হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করে পৃথক পৃথক ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মরদেহের টুকরো নিয়ে যাওয়ার সময় আটকালে কেউ যাতে বুঝতে না পারে, এজন্য মসলা মিশিয়ে ‘খাবার উপযোগী’ মাংসের মতো করা হয়।

এদিকে কলকাতার সিআইডির হাতে আটক হয়েছে বাংলাদেশি যুবক সিয়াম। ১৩ মে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় জুবের নামে এক ক্যাব চালককেও আটক করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর হত্যার পর মরদেহের অংশ সরিয়ে নিতে ব্যবহার করা সাদা রঙের মারুতি গাড়িটি বৃহস্পতিবার ভোরে জব্দ করা হয়। ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে সেই গাড়ি ভাড়া করে আততায়ীরা।

নিখোঁজের আট দিন পর বুধবার জানা যায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করা হয়েছে। ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে ভারতে কেন হত্যা করা হবে তা নিয়ে দানা বাঁধে নানান সন্দেহ।