পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণার সময় অপরপ্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে।
আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের পিয়ারাখালী মন্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সমর্থকরা শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর এলাকার পিয়ারাখালী মন্ডলপাড়া এলাকায় প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা করছিলেন। এসময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে মিন্টু সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৪ জনকে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহতরা হলেন, পৌর শহরের পিয়ারাখালী মন্ডলপাড়া এলাকার রেপেজ শেখের ছেলে ও ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ পরশ শেখ, একই এলাকার মজিবর মন্ডলের ছেলে মিজান মন্ডল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমিরুল ইসলাম, সাবের আলী মন্ডলের ছেলে মনিরুজ্জামান মজুমদার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর প্রচারণার সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থক উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হোসেন শৈশব, পৌর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ রনি, যুবলীগ কর্মী বাটুল সুমন, মানিকসহ ১৪-১৫ জনের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে থাকা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। সে চেষ্টা কে ব্যাহত করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতেই এ অপচেষ্টা। আমার সমর্থকদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, হামলার ঘটনায় চার জন আহত হয়েছে শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।