পিরোজপুর প্রতিনিধি:-পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের বাদুরা এলাকায় চাঁদার কবরস্থান ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জাকির হোসেন খান পিরোজপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
জাকির হোসেন খান জানান, তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং আমি এলএলবি পাশ করার পরে পিরোজপুরে ঠিকাদারী ব্যবসা করি। আমার মা সুফিয়া বেগম,বড় ভাই যুগ্ম জেলা ও দায়রজজ মহিউদ্দিন খান, বোন কহিনুর বেগম, মৃত্যুবরণ করার পর বাদুরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বর্তমান বছর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়া ঐ কবরগুলি বাধাইকরার করি। বাধাই করার দুর্বৃত্তরা আমাকে অসহায় পেয়ে আমাকে বলে ঐ কবরগুলি পাকা করতে হলে তাহাদের পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে।
আমি বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। এতে হামলাকারিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়। তারা চাঁদা না পেয়ে ঐ কবরের পাকা ওয়াল ভেঙ্গে ফেলার পরিকল্পনা করে।
গত সোমবার মাগরিবের নামাজের পর মোঃ নাছির গাজী (৪৫) নুরুল্লাহ খান (৩৫), মাসুম হাওলাদার (৫৫), শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৬০), মোঃ আবুল কালাম গাজী (৫৫), মোঃ জাকির হোসেন গাজী (৪৫), মোঃ সুমন গাজী (৩৩), মোঃ শহিদুল ইসলাম গাজী (৫৮), রামদা, বড় ছোরা, লোহার শাবল,হাতুরী, কুড়াল সহ মারাত্মক প্রাণনাশক অস্ত্রশস্ত্র নিয়া কবরস্থানের পাশে অবস্থান করিতে থাকে।
আমি মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ির ভেতর যেতে শুরু করলে হামলাকারীরা প্রাণনাশক অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমার পথরোধ করে আমাকে বলে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিয়া কবরস্থানের ওয়াল কেন পাঁকা করিয়াছ এবং লোকজনের কাছে নালিশ করিয়াা। এ সময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।
তখন হামলাকারীরা আমার মা, বড় ভাই ও বোনের কবরের পাকা ওয়াল হাতুরী ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। জাকির হোসেন খান জানান, এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলীম সিকদার জানান, চাঁদা না পেয়ে কবর ভাংচুরের নেতৃত্ব দেন শামিমুল আহসান মনির গাজী।