গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত গাজা সিটিতে হামাসের মর্টার হামলায় দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। যার ফলে গাজায় চলমান সংঘাতে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ৩১৪ হয়েছে।

টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নিহত ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনারা হলেন সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস ওমর স্মাগদা (২৫)। তিনি গানোত হাদার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং আলেক্সান্দ্রোনি ব্রিগেডের নয় হাজার ২০৩তম ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।

অপর নিহত সেনা হলেন তেল আবিবের বাসিন্দা সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস সাদিয়া ইয়াকভ দেরাই (২৭)। তিনিও একই ব্রিগেড ও ব্যাটালিয়নের সদস্য। ওমর ও ইয়াকভ উভয়ই এই ব্যাটালিয়নের ‘রিজার্ভ সেনা’ ছিলেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আলেক্সান্দ্রোনি ব্রিগেডের আরও তিন সেনা এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার হামাস এই হামলার দায় নিয়েছে। গাজা সিটির জেইতুন মহল্লায় ইসরাইলি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা মর্টার হামলা চালায়।

এই দুই সেনার মৃত্যুতে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নিহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ৩১৪ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন, যিনি জিম্মি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় নিহত হন।

এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৪৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

কোনো ধরনের অর্জন ছাড়াই পার হলো গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের ৯ মাস। উল্টো তেল আবিবের জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং সেনাদের রক্ষণাবেক্ষণে সংকটের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি ইসরাইলের চ্যানেল সেভেন জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৬৬৩ জন আহতসহ ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে পঙ্গু সদস্যের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।

চ্যানেলটি আরও জানায়, এদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ সেনা ৭ অক্টোবরের পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং শতকরা ২১ ভাগ সেনা শারীরিকভাবে মারাত্মক আহত হয়ে চিকিত্সাধীন।

ইসরাইল সরকারের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরও প্রায় ২০ হাজার নতুন আহত সেনা সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।