সরকারি চাকরিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছেন কোটা নিয়েআন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ তারা অবস্থান নেন। এসময় কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীরাও। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হন। সেখানে বিক্ষোভ করছেন তারা।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধেনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘নারী যেখানে অনন্যা, কোটা সেখানে অবমাননা’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’ ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক’ ‘একাত্তরের সন্তানেরা গর্জে ওঠো আরেকবার’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের মাত্র ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষের জন্য ৩৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। জেলা কোটা ও নারী কোটাসহ মোট কোটা ৫৬ শতাংশ। কিন্তু এই কোটাগুলোর ১০ ভাগের বেশি পুরণ হচ্ছে না৷ তাই আমাদের দাবি, সর্বোচচ ১০ ভাগ কোটা রেখে কোটা সংস্কার করা হোক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের জেরে রবিবার মাঝরাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হল থেকে বের হয়ে আসেন এবং স্লোগানে স্লোগানে উত্তাপ ছড়ান।
‘রাজাকারের নাতিরা সব পাবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না’— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।