পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর কাছে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা চাইতে রাজি হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। ৯ মে দেশজুড়ে সহিংসতায় এর আগে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছিল সেনাবাহিনী।

তবে ওই সহিংসতায় নিজের দায় নেই দাবি করে এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন ইমরান খান। এবার সে ব্যাপারে সুর নরম করেছেন তিনি।

বুধবার (৮ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের ভেতর প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান এই তথ্য জানান। খবর সামা টিভি।

সাংবাদিকদের কাছে ইমরান খান বলেন, দুর্নীতি মামলায় গত বছর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় যদি পিটিআই নেতাকর্মীরা জড়িত থাকে তাহলে তিনি ক্ষমা চাইবেন। তবে আগের মতো এবারও তার দলের নেতাকর্মীরা এই দাঙ্গায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

ইমরানের আরো বলেন, ৯ মে’র সহিংসতার ঘটনায় পিটিআই নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকলে আমি তাদের বরখাস্ত করব। আমি নিজেই পিটিআই সদস্যদের শাস্তি চাইব।

গত ৪ আগস্ট জেলবন্দি হিসেবে একবছর পূর্ণ হয় ইমরান খানের। নিজের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান বার্তাসংস্থার রয়টার্সের বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সেখানে তিনি দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক না রাখাকে ‘বোকামি’ বলে আখ্যা দেন। এমনকি তার সরকার উৎখাতের পেছনে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলেও এখন সুর নরম করেছেন।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। সরকার পতনের পেছনের কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেন তিনি। ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহেরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) সরকার উৎখাতের পর পিএমএল–এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন হয়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসে পিএমএল–এন জোট।