জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্য উপদেষ্টারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বহুলপ্রতীক্ষিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ড. ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, কাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সবার স্বাচ্ছ্যন্দে জীবন ধারণে সরকারের সহযোগিতা সবাই উপভোগ করবেন। এটা আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের সহায়তা করুন।

স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা জয়ী হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাবিশ্ব আজ অবাক হয়ে বলছে সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। আমরা এই অর্জনকে আরও অনেকদূর নিয়ে যেতে চাই।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের ছাত্র-জনতার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকি, সবার জন্য মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রেখে মোট ১৭ সদস্যের উপদেষ্টাদের নামের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে শপথ পাঠ করান।

ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ। তিনজন ঢাকায় নেই, তারা পরে শপথ নেবেন।