ভোরবেলা থেকেই রাজধানী জুড়ে টানা বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার পর থেকে রাজধানীর বাসাবো, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, মালিবাগ, মৌচাক, রাজারবাগ, কাকরাইল, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন, মতিঝিল এলাকাঘুরে দীর্ঘ যানজট ও কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার কারণে এমন ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন রাতের শেষবেলা অর্থাৎ ভোর রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দিনের শুরুতে সূর্যের আলো ফুটতেই বেড়ে যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ফলে কর্মক্ষেত্রে গন্তব্যগামী সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। তবে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বৃষ্টির প্রকোপ কমে যাওয়ার ফলে গন্তব্যগামীরা বেরিয়ে আসেন সড়কে। ফলে বেড়ে যায় গণপরিবহনে যাত্রীর চাপ। গেটে ঝুলেই কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে ছোটেন সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে যানবাহনের ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।

এদিকে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় ও কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর ভোররাত থেকে শুরু থেকেই রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। এর ফলে গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ-প্রকৃতিতে মিলেছে স্বস্তি। স্বস্তির বৃষ্টি আরও দুইদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকায় ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত আরও দুইদিন থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে ঢাকাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু‍‍`এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সাথে বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ভ্যাপসা গরমের পর গতকাল থেকে আবার বৃষ্টির দেখা পেয়েছে রাজধানীবাসী। কিন্তু আজ ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টির ফলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতার। নগরীর একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষ।

এদিকে জলাবদ্ধতায় রিকশাভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ার অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকে। মনিপুরবাসী শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০ টাকার রিকশা ভাড়া বৃষ্টি হওয়ায় ১০০ টাকা রেখেছে। বলছে গেলে যাবেন না গেলে নাই, কি আর করা বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে।