বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে এক হয়েছিলেন একদল শিল্পী। বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) আমলে সুবিধাভোগী এসব তারকারা ছিলেন রাজপথেও সক্রিয়। আর নিজেদের মধ্যে কথোপকথন জন্য তারা খুলেছিলেন একটি গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। ‘আলো আসবেই’ নামের এই গ্রুপের মাধ্যমে তারা নজর রাখত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ওপর। শুধু তাই নয়, সেখানে তারা আলোচনা করত কোথায়, কী করবে?

‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পরই তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। বিশেষ করে শোবিজে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া শিল্পীরা। শুধু তাই নয়, কথা বলেছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে থাকা শিল্পীরাও। কেউ আবার গ্রুপে যুক্ত হওয়ার কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন।

এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘একজন শিল্পী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় থাকবে কিনা তা নির্ভর করে তার মনস্তাত্ত্বিক ও ব্যক্তিসত্তার উপর। তবে সাধারণ মানুষ বা শিল্পী কেউই রাজনীতিকে উপেক্ষা করতে পারে না। কোনো শিল্পী বা রাজনৈতিক দল যদি গণমানুষের কথা না বলে তাহলে সাধারণ জনগণ তাকে ছুঁড়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দাপটে যেসব শিল্পীরা মানবতা লঙ্ঘন করে জাতির কাছে নিচুতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের জন্য আমার শিল্পী পরিচয় আজ লজ্জার।’

উল্লেখ্য, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। আর এতে যুক্ত ছিলেন শোবিজে অনেক তারকা। এই তালিকায় আছেন- সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, জায়েদ খান, সাইমন সাদিক, অভিনেত্রী অভিনেত্রী সুজাতা, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, শমী কায়সার, আজিজুল হাকিম, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, হৃদি হক, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।