জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডিস্থ নগর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, সভায় বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকুরীচ্যূত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরীতে পুনর্বহালের বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিন্ডিকেটের ওই জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ছাত্র-জনতার দাবীর মুখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামকরণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যেসব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য প্রফেশনাল বডি/সংস্থাকে দায়িত্ব প্রদান করার সিদ্ধান্ত বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় গৃহীত হয়।
এর আগে সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর কর্তৃক ৪ (চার) বছর মেয়াদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত হওয়ায় সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ-কে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের প্রজ্ঞা ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি হবে এবং উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।