টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী অক্টোবরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরই টাইগারদের সাদা জার্সি তুলে রাখতে চান এই অলরাউন্ডার। সিরিজের শেষ টেস্টের ভেন্যু মিরপুরে বিদায়ী ম্যাচ খেলার ইচ্ছা তার। তবে দেশে ফিরলে তাকে যেন পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়, সেই দাবিই করেছেন সাকিব।
তবে আজ বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি বিসিবির হাতে নেই। তাকেই (সাকিবকে) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু করতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য বিসিবির নেই। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র্যাবও না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।’
যদিও বিসিবি সভাপতি চান ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি সাকিব দেশেই খেলুক। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিব যদি এখান (বাংলাদেশ) থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।’
সাকিবের নেওয়া অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।’
গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। পতনের আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। হাসিনা সরকারের পতনের পর আর দেশেই আসেননি সাকিব। গত ২২ আগস্ট রাতে গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাকিবের নামে একটি হত্যা মামলা হয়। যদিও রুবেল নিহত হওয়ার সময় সাকিব কানাডায় ছিলেন। সে সময় কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছিলেন তিনি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেন সাকিব। সেই সিরিজ শেষে দলের অন্য সবাই দেশে ফিরলেও সাকিব চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখানে সারের হয়ে একটি কাউন্টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। অনেকেরই ধারণা, মামলার কারণে দেশে ফেরেননি সাকিব। পরে ইংল্যান্ড থেকেই যোগ দেন ভারতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। দেশে ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠিত তিনি। কারণ তার পরিবার বাস করে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এলেও পরে আবার তিনি মার্কিন মুলুকেই ফিরে যাবেন। তবে দেশে আসার পর গ্রেপ্তার না হলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। তাই সবদিকে নিরাপত্তা চান সাকিব।