সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় বাদ পড়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারত ও মালদ্বীপের ম্যাচটি ড্র হলেই কপাল পুড়ত বাংলাদেশের। তবে শেষ ম্যাচে ভারত মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতায় গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আজ সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
আজ পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৮-৭ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এর আগে নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে ড্র হয়। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই পাঁচটি করে গোল আদায় করে নেয়। এরপর খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে। অর্থাৎ, কোনো শটে পিছিয়ে পড়লেই বাদ পড়বে ওই দল। ষষ্ঠ ও সপ্তম শটে গোল পায় দুই দলই। তবে অষ্টম শটে পাকিস্তানের শট ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। আর নিজেদের শট থেকে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশের যুবারা। তাতে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের ফাইনাল।
সেমিফাইনালে আজ দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। প্রথমেই দুই গোল খেয়ে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়েছিল টাইগার যুবারা। তবে শেষ ২০ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে দুই গোল দিয়ে ম্যাচ সমতায় আনে বাংলাদেশ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আজ প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে ৪-২ গোলে হারায় তারা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই আজ ১ গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ৩২তম মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে হেড দিয়ে গোল দেন পাকিস্তানের শাবাব আহমেদ। ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় পাকিস্তান। দলটি আক্রমণে এলে নিজেদের বক্সে হ্যঅন্ডবল করেন বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। গোল দিতে ভুল করেননি পাকিস্তানের আব্দুল রেহমান।
তবে দুই গোল খেয়েও দমে যায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচে ফেরার জন্য চালায় আপ্রাণ চেষ্টা। ৭৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে গোল করেন মিঠু চৌধুরী। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে আরও এক গোল আদায় করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের রক্ষণ ভেদ করে গোল আদায় করেন বদলি হিসেবে নামা মানিক। এরপরই টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। আর সেখানে সফল হয়ে পৌঁছে যায় ফাইনালে।