সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। দেশের মাটিতে শেষবারের মতো টেস্ট খেলতে নিরাপত্তা চাওয়া বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে বলা যায় নিরাশ করলেন তিনি।
কানপুর টেস্টের আগে ঘরের মাঠে শেষবারের মতো টেস্ট খেলতে চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সাকিব। তবে শর্ত দেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যেন কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলা শেষে দেশ ত্যাগ করতে পারেন।
সেই ইচ্ছে হয়তো পূরণ হচ্ছে না তার। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে কানপুরেই শেষবার সাদা পোশাকে খেলছেন তিনি। যার পেছনে বড় কারণ নিরাপত্তা ইস্যু। বিসিবির পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও তাকে অভয় দিতে ব্যর্থ।
প্রথমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ পুরো ব্যাপারটি ঠেলে দেন সরকারের কোর্টে। স্পষ্টই বলেছেন নিরাপত্তা দেয়স বোর্ডের কাজ নয়। কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি বোর্ড দেখবে না।
এবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও মুখ খুলেছে এই ইস্যুতে। তাদের দাবিও অনেকটা একই। ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা দিতে রাজি তারা। তবে ব্যক্তি সাকিবকে নিজের পথ নিজেরই খুঁজতে হবে বলে মতামত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার।
আসিফ বলেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
ক্রীড়া উপদেষ্টার আজকের বক্তব্যে অবশ্য সাকিবের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত অনেকটাই পরিষ্কার। ফলে হয়তো দেশের মাটিতে আর কখনোই খেলতে দেখা যাবে না বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডারকে। আড়ালে থেকেই বিদায় নিতে হবে তাকে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের পর থেকেই দেশের মাটিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাকিব। ছাত্র-আন্দোলনে শহীদ এক গার্মেন্টসকর্মীর হত্যা মামলায় ফেঁসে গেছেন সাকিব। উঠেছে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিসহ আরো নানা অভিযোগ।
ফলে দেশে ফিরলে যেকোনো কিছুই হতে পারে অন্য সবার মতো। কেননা শেখ হাসিনার পলায়নের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত প্রায় সবাই গা ডাকা দিয়েছেন। অনেকেই আবার হয়েছেন গ্রেফতার।