কৃষি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো: শওকত আলী খান এখন সোনালী জনতা অগ্রনী রূপালী এই চার বৃহত রাষ্ট্রায়াত্ত বানিজ্যিক ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। জানা যায় শওকত আলীর বাড়ি টাঙ্গাইল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের বাড়িও টা্ঙাইলে। সেইসূত্রে গভর্নরের সাথে তার সুসম্পর্ রয়েছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিধায় গভর্নর হয়ত তার দুর্নীতি সম্পর্কে অবিহত নন।

শওকত আলী খান মূলত ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিক্রুটমেন্ট কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পদোন্নতি পেয়ে সহকারী মহাব্যবস্থাপক হন। ২২/০৬/২০১৪ সালে উপ-মহাব্যবস্থাপক পদোন্নতি পেয়ে রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কারযালয়ে বদলী হন। তখনই তিনি দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে তার নামে অডিট আপত্তি উত্তাপিত হলেও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতাদের মাধ্যমে অব্যাহতি পেয়ে যান। স্থানীয় কারযালয়ে থাকার সময় তিনি শাহীনুর আলম নামক এক ব্যবসায়ীকে ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ১৪টি এসএমই ঋণ হিসাবে প্রতিটিতে ৫ কোটি করে মোট ৭০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন। এসব প্রতিষ্ঠান কেবল ট্রেড লাইসেন্স সর্বস্ব, কোনো ব্যবসা বা অফিস নাই।। এসব ঋণ হিসাব সম্পূ্র্ণ জামানতবিহীন। চৌদ্ধটি ঋণ বহু আগেই ‘মন্দ ও ক্ষত ‘ শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। বিএসব ঋণের দায়ে অডিট আপত্তি চলমান থাকা সত্ত্বেও জনাব শওকত আলী খান আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ২০২৩ সালের মে মাসে কৃষিব্যাংকের এমডির পদ বাগিয়ে নিতে সমর্থ হন। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ১টি বেনামী ঋণ প্রদানের দায় থেকে পুরো অব্যাহতি পাননি শওকত আলী খান। কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে উপরোক্ত ১৪টি ঋণের বিষয়ে পূর্ন তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রূপালী ব্যাংককে। এ ধরণের একজ দুর্নীতিগ্রস্থ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাকে সোনালী জনতা অগ্রনী বা রূপালীতে নিয়োগ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হবে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই।