অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বিশেষ দূত (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন-বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ শ্রমিক অসন্তোষের কারণ হিসেবে বলেছেন, বেতন ভাতা-সংক্রান্ত কিছু দাবি দাওয়া ছিল, সেটাই মনে হয়েছে মূলত মূল কারণ। এছাড়া বাইরের কিছু উস্কানি ছিল, কিছু ইন্দন ছিল, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এসে আশুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকার কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে তিনি শারমিন গ্রুপের একটি কারখানা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং সে কারণেই এখানে শতভাগ কারখানা চালু আছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক যে চালিকা শক্তি আছে তার মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টর অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। তাই এর উৎপাদন যাতে ব্যহত না হয় সে ব্যপারে সকলের সহ্যকামনা করেন।
তিনি বলেন, আশুলিয়া, সাভার, জিরবো এলাকায় অলমোস্ট শতভাগ কারখানা চালু রয়েছে। এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল এখানে কি কি কারণে এখানে অসান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল সেটা জানা এবং এই পরিবেশ বা এই কারণগুলো চিহ্নিত করেছি। আগামীতে যাতে সেগুলো না হয় বা সেগুলো কিভাবে দূর করা যায় সেগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
এসময় তার সাথে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সাভার সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খান, এনডিসি, পিএসসি, শিল্প পুলিশের পরিচালক মো: সারোয়ার আলম, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মনির হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রডাকশন) কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম, হেড অফ এইচ আর অ্যান্ড কমপ্লাইন্স মি: শিপার সমাজপতি প্রমূখসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।