গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনের এক সাংবাদিককে সাত বছরের জেল দিয়েছেন বেইজিংয়ের একটি আদালত। অভিযুক্ত ওই সাংবাদিকের নাম ডং ইউয়ু। তার পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার এই রায় দিয়েছেন আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, চীনের গুয়াংমিং নামের দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ৬২ বছর বয়সী ডং। ২০২২ সালে জাপানের এক কূটনীতিকের সঙ্গে দুপুরের খাবারে অংশগ্রহণের সময় তাকে আটক করে বেইজিংয়ের পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার পরিবার। তারা বলছে, কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইউয়ুকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া বিশ্বের সামনে চীনের বিচারব্যবস্থার দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করেছে।

রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডংয়ের পরিবার আরও বলেছে, আজকের রায় শুধু ইউয়ু এবং তার পরিবারের জন্যই নয়। বরং তা প্রতিটি স্বাধীনচেতা চীনা সাংবাদিক এবং বিশ্বের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিটি সাধারণ চীনাদের জন্য গুরুতর অবিচার। ডংয়ের বিচার প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, চীনে অবস্থিত প্রতিটি দেশের দূতাবাসই একেকটি ‘গুপ্তচরবৃত্তির এজেন্সি’। সরকার চীনের নাগরিকদের এই বার্তাই দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ওই সাংবাদিকের পরিবার।

এ ঘটনায় জাপানের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যবধান আরও বাড়বে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আদালতে সোপর্দ করার পর থেকেই বেইজিংয়ের কারাগারে আটক ছিলেন ডং।

উল্লেখ্য, ডং ইউয়ু ২০০৭ সাল থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিম্যান ফেলো। তিনি জাপানের কেইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটিং স্কলার ও ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। পিকিং ইউনিভার্সিটি ল স্কুল থেকে স্নাতক পাস করার পর ১৯৮৭ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি গুয়াংমিং পত্রিকাতে যোগ দেন ডং। প্রথম পর্যায়ে তিনি পত্রিকাটির একজন উপ-সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন।