আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান শেষে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীল। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমাদের বন্ধু আছে। আমরা আগ্রাসীতে বিশ্বাসী নই।’

আজ রবিবার ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পরে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, ‘আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা কোনো প্রকার অশান্তিতে বিশ্বাসী না।’

এছাড়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবো।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও বরখেলাপ বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের জনগণের কথা যুবদলের, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কথা আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতিবাদ দিয়ে আমরা এই পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান শেষ করেছি।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে পদযাত্রাটি রামপুরা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেট দিলে বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় শীর্ষ নেতা ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।